খবর আজকাল :- বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাঁটুন, নিয়মিত হাঁটুন, হাঁটার আছে অনেক স্বাস্থ্য গুন । নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে অনেক সুফল পাওয়া যায়। দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ। এর মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিস ,ওবেসিটি  প্রকৃতির  মাধ্যমে এই রোগ গুলি আপনি রুখে দিতে পারেন।

          Image credit -pexels.com      

 হাঁটার স্বাস্থ্যগুন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :- 
 ১. মস্তিষ্কের সক্রিয়তা:- আমাদের শরীরকে নিষ্ক্রিয় রাখার অর্থ আমাদের শরীরের পেশি, নারভ কে নিষ্ক্রিয় রাখা। এর ফলে আমাদের পেশি, নারভের সক্রিয়তা কমে যাওয়া । পরে পেশি, নারভ আরো দুর্বল হয়ে পড়ে ।কিন্তু আমাদের শরীর যখন সক্রিয় থাকে, বা আমরা যখন হাটি, তখন আমাদের পেশি মলিকিউল বা অণু তৈরি করে, এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। ব্রেনের কোষগুলো বিকশিত হয়, এবং মস্তিষ্ক আরো শক্তিশালী হয়।  
২. হার্ট ভালো রাখা:- 
 আমাদের হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে অবশ্যই বেশি বেশি করে হাটা প্রয়োজন । হাঁটার ফলে আমাদের হার্টের কারয ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই । 
 ৩. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে :- 
 হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমাদের হাঁটা প্রয়োজন ।হাঁটার ফলে আমাদের শরীরে পরিপাকতন্ত্রে শক্তি বৃদ্ধি ঘটে । আমাদের খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। এই জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যতা থাকলে আপনি যদি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা , নিয়ন্ত্রণে আসতে বাধ্য ।


        Image credit pexels.com 

৪। বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা :- 

 বেশি হাঁটাহাঁটি আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে । সারাদিন ধরে আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি সেই খাবার বিভিন্ন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। হাঁটাহাঁটি করা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় আরো সহায়তা করে। দেখা গেছে, সারা দিন ধরে যদি অল্প মাত্রাতেও সক্রিয় থাকা যায় সেক্ষেত্রে জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করার চাইতেও অনেক বেশি উপকারী হয়। অনেকে আবার এই জিমে যাওয়াকে অনেক বড় করে দেখেন। সারা দিন শুয়ে বসে কাটিয়ে তারপর এক ঘণ্টায় জিম করেই তারা সুস্থ থাকবেন। আসলে এধরনের শরীর চর্চা মানুষকে নিষ্ক্রিয় থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারে।

 ৫।শারীরিক গঠন শ্রীবৃদ্ধি :- 
বেশি বেশি হাঁটার ফলে আমাদের শরীরে গঠনমূলক শ্রীবৃদ্ধি ঘটে । এর ফলে পেশী ও সুগঠিত হয়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়,।সেই সঙ্গে আমাদের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হাটা হাটি কার্যকারি ভুমিকা পালন করে, বেশি হাঁটার ফলে আমাদের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, এই ইনসুলিন রক্তের শর্করা বহন করে প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয় , এর ফলে শর্করা আর রক্তে জমতে দেয় না , ফলে আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে । 
7। ওজন নিয়ন্ত্রণ:- নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ,আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, তাই ওজন কমাতে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুণ ।



Related Articles :