খবর আজকাল : আবারো বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নক্ষত্র পতন ।
বাংলা দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমিদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুম আজিজ । এবছরের গোড়ার দিকে তার ক্যানসার ধরা পড়ে চিকিৎসা ও ঠিক ঠাক চলছিলো ।অবস্থার অবনতি হলে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। এবং ১৩ অক্টোবর ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল মাসুম আজিজকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, সোমবার ১৭ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেতা।
Image credit -Gogle /www.observerbd.com
মাসুম আজিজের ছেলে উৎস জামান বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সোমবার তার বাবার মরদেহ হাসপাতালেই থাকবে। এবং মঙ্গলবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সেখানে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে, এবং সাধারণ মানুষরাও সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবেন। বলে জানা গেছে ।
এরপরই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পাবনায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে, সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে অভিনেতাকে।
অভিনেতা মাসুম আজিজের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২২ অক্টোবর হবিগঞ্জ বানিয়াচংয়ে। তাঁর বাবা আখতারুজ্জামান এবং মা সৈয়দা আজিজা সুলতানা। তাঁদের আদি বাড়ি পাবনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন
মাসুম আজিজ, ছোটপর্দা, ও
বড়পর্দায় ও তাঁর অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন । তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক- ‘তিন গ্যাদা’, ‘দুই দুকুনে চার’ ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সাকিন সারিসুরি’। তবে শুধু নাটকই নয়, একাধিক ছবিতে তিনি নজর কেড়েছেন। ‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয় করে ২০০৬ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এবং চলতি বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। মাসুম আজিজের চলে যাওয়া যে অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আপামর বাংলা সিনে দুনিয়া।
মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের অনেকেই।
0 মন্তব্যসমূহ