খবর আজকাল:-দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো শপিং মল তৈরি হতে যাচ্ছে ,মোদি অমিত শাহদের গুজরাটে । এই শপং মল টি তৈরী করছে আরবের এক বহুজাতিক সংস্থা , নাম লুলু গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল। বিনিয়োগের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা ।
এই কোম্পানি ভারতে, এর আগে আরো দুটো শপিং মল তৈরি করেছেন, একটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে, অন্যটি কেরলের কোচি শহরে ।লুলু গ্রুপের অধিকর্তা ভি নন্দকুমার জানিয়েছে, আমদাবাদ শহরের যে শপিং মল তৈরি হবে, তা আকারে এই দু’টিকে তো বটেই দেশের সবচেয়ে বড় শপিং মল, হায়দরাবাদের শরৎ সিটি ক্যাপিটাল মলকেও সব দিক থেকে টেক্কা দেবে।
এই মলটি তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে । সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে 2023 সালে নির্মাণকাজ শুরু হবে ।
গুজরাটে যে মলটি তৈরী হচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য হল
1. এই মলের ফুড কোর্টে একসঙ্গে ৩ হাজার অতিথি বসে খেতে পারবেন ।
2. এই মলের সিনেমা হলে থাকবে ১৫টি পর্দা। এক সঙ্গে এক সময়ে ১৫টি সিনেমা দেখানো যাবে এই মাল্টিপ্লেক্সে।
3. কম করে ৩০০টি জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দোকান থাকবে।
4. মলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে ছোটদের মন ভোলানোর জন্য তৈরি চত্বর।
দেশের সবচেয়ে বড় চিলড্রেন্স অ্যামিউজমেন্ট সেন্টারের ঠিকানা হতে চলেছে গুজরাতের এই শপিং মলটি।
এছাড়া বড়দের জন্যও থাকতে চলেছে নানা আকর্ষণ। শপিংয়ের বাইরে পরিবারের সঙ্গে বা একা ভাল সময় কাটানোর যাবতীয় রসদ থাকতে চলেছে এই মলে— জানিয়েছে বহুজাতিক সংস্থাটি। তবে সেই সব সুবিধা কী কী এখনই তার বিশদ জানায়নি তারা। শুধু বলেছে, গুজরাতকে দেশের সেরা শপিং গন্তব্য হিসাবে গড়ে তুলতে চলেছে তারা।
এই ধরনের শপিংমলের বিশেষত্ব হল এগুলি সুপার মার্কেট এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর মিলিয়ে তৈরি হয় । এখানে দৈনিক প্রয়োজনের সব কিছু এক ঠিকানাতেই পেয়ে যান ক্রেতারা। আর এই দোকানগুলি চলে কম লাভ আর অধিক বিক্রির ফর্মুলায়।
কিছু দিন আগেই দুবাইয়ে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। সেখানে আরবের হাইপারমার্কেটের বহুজাতিক সংস্থা লুলু ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রধান এমএ ইউসুফ আলির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয় তাঁর।
ইউসুফ আলি আরবের বহুজাতিক সংস্থার প্রধান হলেও আদতে তিনি এক জন ভারতীয়। কেরলের ত্রিশূরের মুসলিম পরিবারে জন্ম। সেখানেই স্কুল-কলেজের পড়াশোনা। তবে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভারতে থাকেননি। পেশার তাগিদে চলে গিয়েছিলেন আবুধাবিতে।
এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর ২৩টি দেশে ২৪০টি হাইপারমার্কেট খুলেছে ইউসুফের সংস্থা লুলু ইন্টারন্যাশনাল। । ইউসুফকে তাঁর সাফল্যের জন্য ভারতের কংগ্রেস সরকার পদ্মশ্রী দিয়েছিল ২০০৮ সালে।
0 মন্তব্যসমূহ