তাই ওজন কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করতে পারেন, দেখবেন ফল হাতে হাতে পেয়ে যাবেন ।
১।ছোলার ছাতু:-
ছোলার ছাতু হলো প্রোটিনযুক্ত (protein) খাদ্য। এতে রয়েছে ভরপুর ফাইবারও (fiber)। ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার ।তাই প্রতি দিন সকালে ছোলার
ছাতুর সরবত করে খেতে পারেন ।
২ । মধু-লেবু :- এক গ্লাস গরম জলে পাতি লেবু ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন । প্রতি দিন সকালে নিয়মিত গরম জল সহযোগে লেবু ও মধু খেলে, আপনার মুখে রুচি আসবে, হজমপ্রক্রিয়া ভালো রাখবে, সেই সঙ্গে আপনার ওজন ও তরতরিয়ে কমবে ।
[খবর আজকাল এ আরো পড়ুন ডায়াবিটিস এখন শিশুদের শরীরেও! কোন কোন লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে? Diabetes in Kids.
৩।টক দই :- খাবার হজম করার জন্য টক দই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।দুপুরে বা সকালের পাতে টক দই রাখতেই পারেন । টক দই আমাদের পাচনতন্ত্রকে
শক্তিশালী করে । সেই সঙ্গে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে ও সাহায্য করে ।
Image credit Wikimedia. Commons
৪।জোয়ান :- জোয়ান মুখশুদ্ধি হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করেন ।প্রতিদিন নিয়মিত জোয়ান খাওয়ার অভ্যাস করলে, আপনার ওজন কে রাখবে নিয়ন্ত্রণে।
এই সব টোটকা ব্যবহার করার পরেও ওজন কমাতে প্রথমে আপনাকে নজর দিতে হবে প্রতিদিনের খাওয়া দাওয়ার উপর । আপনি প্রতিদিন যতটা ক্যালোরি খরচ করেন, তার চেয়ে ৩০০-৪০০ ক্যালোরি কম খাওয়া দাওয়া করতে হবে ।
এর জন্য আপনি রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য নিতে পারেন । এছাড়া
প্রতিদিনের খাবারের তালিকাই প্রোটিন এবং ফাইবার যুক্ত খাবার যোগ করতে হবে ।
প্রোটিন এবং ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, যার কারণে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি বোধ করেন। এর ফলে ঘন ঘন বেশি খাওয়ার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন ।
প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন
ডিম, মাছ, মুরগি, মসুর ডাল ইত্যাদিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও কমলা খেতে পারেন।
অন্য দিকে একেবারে বেশি না খেয়ে, অল্প অল্প পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাবার বারবার খান ।
এতে আপনার সারাদিন পেট ভরা থাকবে এবং মেটাবলিজমও
ঠিক থাকবে ।যা আপনাকে
ওজন কমাতে সাহায্য করবে ।
ওজন কমাতে যা করবেন না :-
১। লবণ এবং চিনি যুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না ।
২। কোন ডিপ ফ্রাই কোন খাদ্য বস্তু থেকে বিরত থাকুন ।
৩। বেশি মালমশলা যুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না।
৪। কোন রকম জাঙ্ক ফুড ,ফাস্ট ফুড খাবেন না ।
৫।পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন, যাতে আপনার শরীরে টক্সিন জমা হতে না পারে ।
৬। মদ্যপান এবং ধুমপান একেবারেই করা যাবে না । মদ্যপান এবং ধুমপান আমাদের শরীরকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
Related Articles :-
0 মন্তব্যসমূহ