খবর আজকাল :- বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের, কেন্দ্র সরকার, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগে মমতা ব্যানার্জি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছেন । এর মধ্যে মধ্যেই আবার কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য সরকার ।কেন্দ্রের থেকে অভিযোগ আসে কেন্দ্রের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কে রাজ্য সরকার নতুন নাম দিয়ে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালিয়ে যাচ্ছেন ।অন্য দিকে ১০০ দিনের টাকা নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার । এর ফলে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এ রাজ্যে থমকে গিয়েছে । যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে । বকেয়া টাকারজন্য সম্প্রতি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক ও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা কেন্দ্র করে বিরোধীরা আবার পাল্টা আক্রমণ ছুড়ে দেয় দুই সরকারকেই। 


অন্য দিকে কেন্দ্র তার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল পাঠাই রাজ্যে।সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দেওয়া  হবে না। 
 এদিকে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দিল্লিতে বৈঠকে হওয়ার কথা আছে ।। তবে সেই বৈঠকে জট কতটা কাটবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।


   এদিকে এই টানা পড়েনের মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরকে বকেয়া ব্যবদ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে । নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীনেই চলে সকল শিক্ষা মিশন প্রকল্প। সেই প্রকল্পেই গত পাঁচ মাস ধরে ই রাজ্য কেন্দ্রের থেকে বকেয়া বাবদ ৯৫০ কোটি টাকা পেতো। সেই টাকাটাই কেন্দ্র দিয়েছে। প্রসঙ্গত সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব ৬০ শতাংশ, রাজ্যের অংশীদারিত্ব ৪০ শতাংশ। গত পাঁচ মাস ধরেই রাজ্যের এই বকেয়া পাওনার দাবি করেন । কেন্দ্রের কাছে। এই শিক্ষা মিশন প্রকল্পের অধীনে স্কুলের নতুন ক্লাসরুম তৈরি, নতুন ভবন তৈরি, মডেল স্কুল তৈরি, শহর স্কুল শিক্ষার প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজকর্ম পরিচালিত হয়। কেন্দ্রের কাছ থেকে এই পাওনা পেয়ে ও রাজ্যের বাকি অংশের টাকা এখনও স্কুল শিক্ষা দফতর পায়নি বলেই নবান্ন জানিয়েছেন । এদিকে রাজ্যের মুখ্য সচিবের দফতর থেকে শুক্রবারই এক নির্দেশিকা জারি হয়। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে অন্যান্য দফতরের কাজগুলি যাতে ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা করতে পারেন সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ।

খবর আজকাল এ আরো পড়ুন