খবর আজকাল :- গ্যাসের সমস্যা ভোগে না এমন লোককে খুঁজে পাওয়া কঠিন , । আর একটু তেলে ভাজা, বা ভাজা পোড়া কিম্বা একটু তেল, মালমশলা যুক্ত খাবার খেলেই আমাদের বদ হজম শুরু হয়ে যাবে । শীত কাল আসলে যেন গ্যাসের সমস্যা আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরে।


 এই সব গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, বাজারে গিয়ে ফারমাসি থেকে ঔষধ কিনে খেয়ে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টাকরি । কিন্তু এর ফলে আমাদের শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেই ।এর ফলে আমাদের অজান্তেই শরীরে বাসা বাধছে আরো হাজারটা রোগ ।
এই সব ঔষধ আমাদের কিডনি, হার্ট প্রভৃতি অঙ্গে মারাত্মক প্রভাব ফেলে ।

 তাই এ বার ওষুধকে দূরে রাখুন, গ্যাসের সমস্যাকে বলুন বাই বাই। ঘরোয়া উপায়েই রেহাই পাবেন গ্যাসের সমস্যা থেকে , দেখে নিন উপায়গুলি :- 

 ১. ঠান্ডা দুধ :- ঠান্ডা দুধপাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে। 
 
২. দারুচিনি :- দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভাল। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার পান করলে নিমেষে গ্যাস দূরে হবে ।
 ৩. মৌরি :' - মুহূর্তেই আপনার গ্যাসের ব্যথা কমাতে পারে মৌরি। খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকেনা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে পান করুন । গ্যাসের সমস্যা দূর করতে মৌরির কোন বিকল্প নেই । 
 ৪.লবঙ্গ- গোট তিনেক লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। মুখের দুর্গন্ধ থাকলে সটাও দূর হবে । 
 ৫ . পুদিনা পাতা:- এক কাপ জলেকয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
 ৬.আদা- আদা থেতো করে খান দেখবেন গ্যাস কমে যাবে । 
 ৭. ,টকদই :- টকদই যার কোনও বিকল্প নেই। টকদইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি হতে দেয়না। এর সঙ্গে বিটনুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আরও ভাল ফল মিলবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী বানায়। 
 ৮.পেঁপে :- পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে । পেঁপে কাঁচা-পাকা দু’অবস্থায় খেতে পারেন। সবটাতেই উপকার পাবেন।
 ৯. কলা:- কলা গ্যাসের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ।কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তাই এখন থেকে নিয়মিত কলা খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলুন ।


 ১০. আনারস :- আনারসে রয়েছে ৮৫ শতাংশ জল এবং ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম যা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পাচক রস। তাই হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য আনারস খান তাছাড়া আনারস ত্বকের জন্যও উপকারী। 


Relate article :-