Image credit Wikimedia. Commons
হজমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন?
এক জন ব্যাক্তির
সুস্বাস্থ্যের জন্য হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এটি কোন রকম বাধাগ্রস্ত হলে বা কোন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হলে পুরো দেহই স্থবির হয়ে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেন, শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন না হলে তা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে।
তাদের মতে , একটা খাবারের সাথে অন্য আরেকটা খাবার মিলে শোষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এটি কোনো রকম বাধাগ্রস্ত হলে আমাদের ওজন বেড়ে যাওয়া, কখোনো লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাওয়া, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, হজম প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
এগুলো হচ্ছে,১। আপনি কি খাবার খাওয়া হচ্ছে সেটা, ২।আবার আপনার সেই খাবার পরিপূর্ণভাবে হজম হওয়া ৩।সেই খাবার হজমের পর সেটা দেহে শোষণ হওয়া। এই তিনটি ধাপই দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান পুষ্টিবিদরা ।
তাদের মতে , হজম সম্পর্কিত সমস্যা বলতে শুধু গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া বা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যকে বোঝায় না।
হজম প্রক্রিয়া কোন রকম বাধাগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এছাড়াও আমাদের শরীরে কিছু ইনডিরেক্ট ইফেক্ট পড়ে ।
হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে ।হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে আপনার স্থূলতা বৃদ্ধির মতো সমস্যা ও দেখা দিতে পারে ।
আপনি অনেক পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন তার পর আপনার আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে ।
গর্ভবতী মায়েদের হজম প্রক্রিয়ার সমস্যার জন্য
বাচ্চার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে ।
এবার দেখা যাক আমাদের
হজমশক্তিকে ভাবে বৃদ্ধি করা যাই ।
১. পর্যবেক্ষণ:
আমাদর একেক জনের হজমশক্তি একেক রকমের তাই সবার আগে যেটা করতে হবে,
এক জন ব্যক্তির কোন খাবার খেলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেটি খেয়াল করতে হবে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, বেশিরভাগ মানুষ বোঝেই না যে তাদের কোন খাবারে তাদের সমস্যা হচ্ছে , এর ফলে কি হয় তারা ধীরে ধীরে প্রায় সব ধরণের খাবার বাদ দিতে থাকে।
যেমন, অনেকে দুধ হজম করতে সমস্যা হচ্ছে দেখে দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিয়ে দেন, সেটা না করে
ধীরে ধীরে দুধের সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কারণ দুধ হজমে দরকারি ল্যাকটেজ নামে এক বিশেষ ধরণের এনজাইম শরীরে নিঃসরণ বন্ধ হয়ে গেলেও তা আবার পুনরায় নিঃসরণ শুরু করা সম্ভব। আর এ জন্যই আমাদের জানা দরকার কোন খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়া অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের ঘাটতির কারনেও আমাদের হজমশক্তি দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিলে তা অবশ্যই শক্তিশালী করা সম্ভব।
২. শারীর চর্চা :-
যে কোন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম বা শরীর চর্চা আমাদের হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । পুষ্টিবিদরা মনে করেন,
, শরীরের মাঝের অংশের কর্মকাণ্ড যত ভাল হবে হজম প্রক্রিয়া তত সুন্দর হবে।
তাই
শরীরের মাঝের অংশে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম গুলো করতে পারেন ।তাহলে হজমপ্রক্রিয়াকে সহজতর করা সম্ভব হবে ।
৩. /খাবার:
আমাদর হজম প্রক্রিয়াকেসহজতর করতে খাবার কে আসতে এবং খুব ভালো করে খাবার কে চিবিয়ে তার পর খাবেন ।
প্রতি দিন পাতে একটু টক দই রাখার চেষ্টা করুন টক দই আমাদের খাবার কে হজম করতে সাহায্য করে ।
দিনের কোন একটা সময় দেড়শ থেকে দুইশ এমএল দই খাওয়া যেতে পারে।
৪ /ঘুম:
খাবার হজম করতে হলে আমাদের কে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে । রাত জেগে থাকলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। রাতের বেলা এমনিতেই পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে, আমরা যখন রাত জেগে থাকি তখন আমাদের সমস্ত
ইন্দ্রিয় সচল থাকে এর ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু পর্যাপ্ত অক্সিজেন যখন পাই না তখন আমদের হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। বেশি রাত জেগে রাতের খাবার খাওয়া ও ঠিক না । এর ফলেও আমাদের হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
Related Articles; -
0 মন্তব্যসমূহ