খবর আজকাল :- দীর্ঘদিন ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।বিরোধীদের ও অভিযোগ, রাজ্য সরকার দেউলিয়া অথচ বিভিন্ন ক্লাব কে টাকা দিচ্ছে, সরকার মেলা করে বেড়াচ্ছে।

        Image credit shutterstock

 গত ২০ মে হাই কোর্ট রায় দিয়ে জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মীরাও কেন্দ্রের হারে ডিএ পাওয়ার যোগ্য। তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে হাই কোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ।
 এনিয়ে, বাম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয় শংকর সিং বলেছন দেউলিয়া ঘোষনা করা হোক রাজ্যকে’, বিজয় শংকর আরও বলেন, ‘মেলা, খেলা, উৎসব করার বেলায় টাকার কোনও ঘাটতি হয় না সরকারের।' সম্প্রতি পুজোর সময় ক্লাবগুলিকে দুশো কোটি টাকার বেশি দেওয়া হল। 
 এই মুহূর্তে সরকরের যা অবস্থা এতটাই খারাপ যে কর্মচারীদের পেনশন অবধি দেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না রাজ্য সরকারের পক্ষে। প্রতি মাসে বেড়েই চলেছে ঋণের বোঝা। তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলে দিয়েছেন যে নতুন কোন প্রকল্প চালু করার মত সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই, শুধু মাত্র আগের প্রকল্প বা চলতি প্রকল্পগুলোকে শেষ করার দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার। সরকারের কথা মত নতুন করে রাস্তা, হাসপাতাল, স্কুল তৈরির জন্য কোনও রকম টাকা নেই সরকারের হাতে। গত ২৮ মার্চ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে পেশ করা হয়েছে কন্ট্রোলার এবং অডিট জেনারেলের রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে সরকারের দেউলিয়া হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। রিপোর্ট বলা হয়েছে সরকারের যেটুকু খরচ না করলে নয় সেই আবশ্যিক খরচেরও ৫৮.৮৩% এসেছে ধার করা টাকা থেকেই। এই আবশ্যিক খরচ যেমন কর্মচারীদের পেনশন, ভাতা, হাসপাতালের খরচ গুলি।
[খবর আজকাল এ আরো পড়ুন 
 এই সমস্ত খরচ সাধারণত করের টাকাতেই চালানো উচিত রাজ্যের। ওই সংস্থার আরো দাবি করেন , পশ্চিমবঙ্গের এখন এমনই অবস্থা আগামী দিনে শুধুমাত্র ধার মেটানোর জন্যই ধার করতে হবে রাজ্যকে। 
 অন্যদিকে সিএজি মোদীর রাজ্য গুজরাট নিয়ে ও রিপোর্ট পেশ করেছেন, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ঋণ শোধে অতি সুচিন্তিত পথ না নিলে অতি দ্রুতই চরম বিপর্যয় আসন্ন গুজরাটে। সিএজি জানিয়েছে আগামী ৭ বছরে সরকারের মোট ঋণের ৬১% ফেরত দিতেই হবে সরকারকে।তাই নতুন করে ঋণ নেওয়ার আগে গুজরাট সরকার যেন এটা মনে রাখে। 
গুজরাট সরকার অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলির পেছনে অপরিকল্পিতভাবে খরচ করার জন্য ভুগছেন । 
 এহেন অবস্থায়  বাংলার অর্থনীতির এই হাল নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শিবিরের সোচ্চার হওয়ার 
 জায়গা থাকলেও বিজেপি শাসিত গুজরাটেও বাংলার মত অর্থনৈতিক  পরিস্থিতি হওয়াই বিজেপি এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি না।


খবর আজকাল এ আরো পড়ুন