খবর আজকাল :- অর্শরোগ বা পাইলস পরিচিত একটি যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সমস্যা হিসাবে ।সাধারণত মলাশয়ের নিম্নাংশ ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলা হয়। এই অর্শ মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। 
এই রোগ ৪০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে বেশি দেখা দেই । একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের দেশের ৪০ থেকে ৬৫ বছর বয়সি মানুষের মধ্য ৬৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত । তবে এই রোগ আর কোন বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে এই রোগ দেখা যাচ্ছে । 

     Image credit -shutterstock.com

 মুলত আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস ও জীবনধারা ই এই রোগের জন্য দায়ী । যেমন, ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে এই রোগ হতে পারে । 


 অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা করা হয় ।তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলেই এই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। 

 আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলি -: 

 1 . বরফ :- ঘরোয়া উপায়ে অর্শ নিরাময় করার জন্য একটি কার্যকারি উপাদান হল বরফ ।কয়েক টুকরো বরফ , একটি কাপড়ের মধ্যে পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে কয়েক মিনিট রাখুন ।এই ভাবে কয়েক বার করে নিয়মিত দিন । খুবই ভালো ফল পাবেন । 
 2 .উষ্ণ লবণ জলে সেক :- অর্শ নিরাময়ের জন্য কার্যকারি উপায় হল উষ্ণ লবণ জলে সেক দেওয়া । একটি পাত্রে জল নিয়ে ,তাতে অল্প পরিমান লবন দিয়ে, সেটিকে সহনীয় তাপমাত্রায় গরম করে নিন । তারপর ঐ উষ্ণ গরম জলে মল দ্বার চুপিয়ে বসে থাকুন । এমন করে ২০মিনিট বসে থাকুন । এমন দিনে তিন বার করে করুন । কাজ হবেই হবে ।
 3. অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: -এটি অর্শ নিরাময়ে খুবিই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ।এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দিনে দু’বার খান।ভালো মজাদার করার জন্য এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। 


 4. অ্যালোভেরা :- অর্শ রোগ নিরাময়ের জন্য অ্যালোভেরা খুব কার্যকারি একটি উপাদান ।অর্শ নিরাময়ের জন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগান দিনে তিন বার । ভালো ফল পাবেন। 
 5. আদা :- ডিহাইড্রেশন অর্শরোগের অন্যতম একটি কারণ। অল্প আদা কুচি তার সাথে , লেবু ও মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খান। তাহলে অর্শ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে । 


 অর্শ রোগ হলে জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে । 
 1.দিনে কম করে তিন লিটার জল খাওয়া নিশ্চিত করতেই হবে। 
 2.ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে।  3.প্রচুর পরিমাণ শাক সব্জির খেতে হবে ।
 4. ওজন নিয়ন্ত্রণকরতে হবে ।
 5.চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
 6. নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।
 7.নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমাতে হবে । 
 8.কোন রকম ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে ।  9. পর্যাপ্ত ফলমূল খেতে হবে। 
 10 কোন ওষুধের কারনে যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় , তাহলে ডাক্তারে সঙ্গে কথা ওষুধ পরিবর্তন করতে হবে ।




Related Articles :-