স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , বছর ২০ আগে সীমার বিয়ে হয় শ্রীরামপুরে। কিন্তু বিয়ের দশ বছর পর সীমার স্বামী মারা যান। তার পর থেকেই বাপের বাড়িতেই দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সংসার চালাতে পরিচারিকার কাজ করতেন লোকের বাড়িতে ।
সীমার পরিবারের অভিযোগ, , জাঙ্গিপাড়ার হাজিপুর বাসিন্দা মিলন বাউরির সঙ্গে তাঁদের মেয়ের রং নম্বরে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে । প্রয়শই ফোনে কথা বলতেন সীমা ও মিলন। ৪ বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ঠিকঠাক চলছিল ।
সম্প্রতি সেই সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। সীমার বাপের বাড়ির লোকজনের ধারণা , সম্ভবত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন সীমা। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
[খবর আজকাল এ আরো পড়ুন পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে প্রেম, তথ্য পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার সেনা জওয়ানে।Army jawan, honey-trapped by Pakistani agents, arrested in Rajasthan
পরিবারে আরো দাবি, গত কয়েক দিন মিলনের কোন ফোন তোলেননি সীমা। এর পর মঙ্গলবার রাতে একেবারে সীমার বাড়িতেই হাজির হন মিলন। কিন্তু তাঁকে দেখে মোটেই খুশি হননি সীমা। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে , এই কথা কাটাকাটির মধ্যে সীমার নাবালক পুত্র শাবল হাতে নিয়ে মিলনকে আঘাত করতে যায়। সেই শাবল কেড়ে সীমার ছেলে ও মেয়েকে মারধর করেন মিলন। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মিলন।
[খবর আজকাল এ আরো পড়ুন পশ্চিম বাংলায় আপের (AAP) সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর । Aam Aadmi Party opens state office in Kolkata.
সীমাও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর বুধবার সকালে গ্রামেরই একটি পুকুরের কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সীমার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ।
মহিলার পরিবারের তরফ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, পলাতক অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’।
Related Articles
0 মন্তব্যসমূহ