শীত কালে এই এলার্জি সব থেকে বেশি বাড়াবাড়ি হয় ,সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি তো আছেই ।
শীতের বাতাস ভারী থাকে, এই বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা থাকে, এই ধূলিকণা শ্বাসনালীর মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রবেশ করে, এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, প্রদাহের প্রতিক্রিয়াই হলো এলার্জি ।
এলার্জির উপসর্গগুলি হলো :-
১) ঘন ঘন হাঁচি ,
২) কাশি,
৩) নাক দিয়ে জল পড়া ,
৪) চোখে জ্বালা ভাব,
৫) নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ,
৬) হালকা জ্বর,
৭) ত্বকে সংক্রমণ,
[ খবর আজকাল এ আরো পড়ুন ডায়াবিটিস এখন শিশুদের শরীরেও! কোন কোন লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে? Diabetes in Kids.
অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায়
১) ঘরের ভেতর ভালো করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখুন ,ধুলোবালি যাতে না থাকে । ঘরের ভেতর যে ধুলোবালি থাকে তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে ।
২। আলমারি থেকে শীতের পোশাক বার করে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তারপর গায়ে দেবেন ।
তাছাড়াও শীতের পোশাক , বালিশ, লেপ , চাদর, সোয়েটার প্রভৃতি ব্যবহারের পরে নিয়মিত রোদে দেওয়ার চেষ্টা করবেন । এর ফলে পোশাক থেকে যে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় তার থেকে নিস্তার পাবেন ।
৩। বাড়ির ভিতর খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। যাতে ঘরের ভেতর আলো বাতাস ঢুকতে পারে । তাহলে ঘরের ভেতরের ধুলোবালি বাহিরে বার হবার সুযোগ থাকবে । কারণ বদ্ধ ঘরে ধুলোবালি বাহিরে বার হতে পারে না । এর ফলে অ্যালার্জির রোগীরা সমস্যায় পড়তে পারে ।
৪। পশু পাখি থেকে অ্যালার্জির রোগীরা সাবধান ।কারণ পশু ,যেমন কুকুর ,বিড়াল গরু, এদের লোম আমাদের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এবং কবুতর, হাস মুরগির গায়ের ধুলোবালি, পালক আমাদের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে, এই জন্য অ্যালার্জির রোগীরা এই সমস্ত পশু পাখি থেকে সাবধান থাকুন ।
৫।যখনই ঘরের বাইরে কোথাও যাবেন , তখন মাস্ক ব্যবহার করুন , যাতে রাস্তার ধুলোবালি আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে না পারে । কারণ এই রাস্তার ধুলোবালি আমাদের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করে ।
এই শীতে অ্যালার্জি জনিত সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায়
ভুগলে কি করবেন?
১।গরম জলে ভাপ :- যদি অ্যালার্জি জনিত কাশি তে যদি ভোগেন, তাহলে গরম জলে ভাপ নিন ।
একটি পাত্রে জল ফুটিয়ে নিন, তারপর সেই জলের ভাপ নিন, ভাপ নাক দিয়ে নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন ।এমনটা দিনে তিন থেকে চার বার করুন । দেখবেন কাশি নিমেষে কমে যাবে । এবং নাক বন্ধ হওয়া ঠিক হয়ে যাবে ।
২।আদা: কিছু টা আদা কুচি করে নিন এবং তার সঙ্গে পরিমাণ মতো জল দিয়ে , ফুটিয়ে নিন । তারপর
সেই জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে তার পর, পান করুন , এই জল দিনে তিন বার পান করুন । দেখবেন সর্দি কাশির জন্য আর ঔষধের প্রয়োজন হবে না ।
৩। লবণ জল :- সর্দি কাশির কারণে গলা ব্যাথা হলে এক গ্লাস জলে এক চামচ লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তারপর এই জল দিয়ে গার্গল করুন ।দেখবেন গলা ব্যাথা কমে গেছে ।সেই সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে , সেটা ও কমে গেছে ।
৪।বাসক পাতার:- কাশিতে ভুগলে, বাসক পাতার রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে কাশি থেকে নিস্তার পাবেন ।
এছাড়া এলার্জি, সর্দি ,কাশিতে ভুগলে, প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন , ঘুমান এবং আলোচিত টিপস্গুলো ফলো করুন, দেখবেন আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন ।
যদি বাড়াবাড়ি কিছু হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান।
এলার্জি, সর্দি কাশি নিয়ে আলোচনা যদি ভালো লাগে, তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
Related Articles :-
0 মন্তব্যসমূহ